ঠাকুরগাঁও জেলায় অস্ত্র মামলায় আবু সাইদ নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আবু সাইদ এর বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও (এফ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে এবং ১৯ (এফ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে ৫ বৎসরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ। মামলায় অপর আসামি আসাদুজ্জামান লিটন ও সোলেমান আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী আবু সাইদ (২৮) হরিপুর উপজেলার লহুচাদ গ্রামের বদরুল ইসলামের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান লিটন ও সোলেমান আলী হরিপুর উপজেলার লহুচাদ গ্রামের বাসিন্দা । রাষ্ট্রপরে সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় জানান, ২০১৮ সালের ২ জুলাই গ্রামীণ ব্যাংকের রাণীংশকৈল উপজেলার কাশিপুর শাখার ডেপুটি প্রিন্সিপাল অফিসার হারুন অর রশিদ ও তার পিয়ন মুকুল হোসেন সোনালী ব্যাংকের নেকমরদ শাখা থেকে ৬ ল টাকা উত্তোলন করে নেকমরদ থেকে মহারাজা হাটের উদ্দ্যেশে রাওয়ানা দেন। এর পর তারা দূর্লভপুর নামক স্থানে পৌঁছালে আসামী আবু সাইদ দ্রতগামী মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের গতিরোধ করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একরাউন্ড ফাকা গুলি করে তাদের ভয় দেখিয়ে ৬ ল টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে হারুন অর রশিদ ও তার পিয়ন মুকুল হোসেন চিৎকার দিতে দিতে তাদের ধাওয়া করতে থাকে। আরাজি চন্দনহট গ্রামে পৌছালে পুলিশের চেক পোষ্ট দেখে মটর সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করে আসামীরা। পরে এলাকা বাসীর সহযোগিতায় পুলিশ আবু সাইদ ও আসাদুজ্জামান লিটন কে আটক করে। আবু সাইদ এর কাছ থেকে একটি ম্যাগজিন যুক্ত বিদেশী পিস্তল ও গুলি এবং আসাদুজ্জামান লিটন এর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে রাণীশংকৈল থানায় এসআই আসগর আলী বাদি হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।